বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্যদের না জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে দুই অভিভাবক সদস্য আরশাদ হোসেন রুমি মোল্লা ও মামুনুর রশীদ জোমাদ্দার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নের জন্য স্কুলের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিলো ৭ মে। ব্যাংকের প্রমাণপত্র অনুযায়ী এই তারিখ পর্যন্ত শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ১ জন মহিলাসহ মোট তিনজন ও সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে ১ জন মহিলাসহ মোট ৫ জন, দাতা সদস্য পদে আফতাব আহমেদ (বর্তমান সভাপতি) এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক পদে একজনের নামে ব্যাংকে জমা হয় এবং তারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
যে কয়টি পদ তার সমান সংখ্যক প্রার্থীর মনোনয়ন জমা হওয়ায় নির্বাচন হওয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে একটি সভার মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচ করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার চ্যাটার্জীকে বারবার বলা হলেও তিনি সভা আহ্বান করতে গড়িমসি করেন। এবং তাদের ব্যাংকে জমা দেয়া ৪৫ হাজার টাকাসহ আপ্তাব আহমেদের কাছ থেকে আরো ১৫ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আপ্তাব আহমেদ বলেন, সভাপতি নির্বাচনে তার কোনো মতামত নেয়া হয়নি, এমন কি কোনো সভাও হয়নি, তিনি কোনো সভার নোটিশও পাননি।
কিন্তু প্রধান শিক্ষকের সভা ডাকার অনিচ্ছার কারণে সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানতে পারে যে, ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজকে সভাপতি করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধান শিক্ষক বোর্ডে গত ২৫ মে দাখিল করেছেন, এ তালিকায় মনোনয়ন দাখিল করা মইনুল ইসলাম ও আবু আহমেদ আব্দুল্লাহর নেই।
তাদের পরিবর্তে সুখলাল মালাকর ও ফজলুল হক শরীফের নাম অন্তর্ভুক্ত করা আছে। এর দুজন উক্ত তারিখের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে কীভাবে প্রার্থী হলো এবং মইনুল ইসলাম ও আবু আহমেদ আব্দুল্লাহর নাম কেনো বাদ পড়লো তার ব্যাখ্যা প্রধান শিক্ষক দিচ্ছেন না।
আপ্তাব আহমেদ, আরশাদ হোসেন ও মামুনুর রশীদ জানান, তারা সভার কোনো নোটিশও পায়নি। তাদের প্রশ্ন হলো, সভা হলে তারা নোটিশ পাবেন না কেন? তাদের স্বাক্ষর ছাড়া কীভাবে রেজুলেশন করা হলো।
আর প্রিজাইডিং অফিসার বামনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোটা অংকের লেনদেনের বিনময়ে প্রধান শিক্ষকের সব অবৈধ কর্মকাণ্ডকে জায়েজ করে দেয় বলে সদস্য ও স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করেছে।
এ ছাড়া যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি হত্যা মামলার অভিযুক্ত ও মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন চ্যাটার্জী জানান, নিয়ম কানুন অনুযায়ী কমিটি গঠন করে শিক্ষাবোর্ড অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয় জানাতে চাইলে তিনি জানান সেটা অভিযোগকারীর বিষয় আমি আইনের ব্যতয় ঘটে সে রকম কিছু করিনি।