এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো জাপান। রকেটের জ্বালানিতে গোবরের ব্যবহার করে জাপানি ইঞ্জিনিয়াররা তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা বিশ্বে। জাপানি স্পেস স্টার্টআপ কোম্পানি ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিস হোক্কাইডো স্পেসপোর্টে তার কসমস ইঞ্জিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করেছে। এই উদ্ভাবনী রকেটটিতে জ্বালানি হিসাবে গোবর থেকে প্রাপ্ত মিথেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিশ্বের উদ্বোধনী অরবিটাল রকেট তৈরির অনুসন্ধানে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে বায়ু দূষণের মাত্রা। সেখানে মহাকাশ গবেষণায় দূষণমুক্ত রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে নজিরবিহীন এই পদক্ষেপ শুরু করলেন জাপানের ইঞ্জিনিয়াররা। পরীক্ষার সময় গোবর গ্যাস সফলভাবে রকেটের ইঞ্জিনটিকে ১০ সেকেন্ডের জন্য প্রজ্বলিত করে একটি শক্তিশালী নীল শিখা তৈরি করে।
এর আগে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি নিজস্ব গোবর-জ্বালানিযুক্ত রকেট ইঞ্জিন তৈরি করে, তবে ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিস প্রথম বেসরকারি কোম্পানি যা এটি করেছে। ইঞ্জিন পরীক্ষা একটি পরিষ্কার এবং সহজে উপলব্ধ রকেট জ্বালানি উৎস হিসাবে বায়োমিথেনের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে।
ইন্টারস্টেলার এক বিবৃতিতে বলেছে-টোকিও ইউনিভার্সিটি, JAXA স্পেস ইনোভেশনের সাথে এই নতুন রকেট ডিজাইন করেছে যা উচ্চ দহন কর্মক্ষমতা অর্জন করে। ফলস্বরূপ, যন্ত্রাংশের সংখ্যা প্রচলিত ইঞ্জিনের এক-দশমাংশে কমিয়ে আনা গেছে, মৌলিকভাবে একটি রকেট ইঞ্জিনের উৎপাদন খরচ কমিয়েছে, যা সামগ্রিক ব্যয়ের অর্ধেক হবে বলে অনুমান করা হয়েছে ।
আগামী দিনে ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিসের লক্ষ্য হলো, এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে লো আর্থ অরবিট তথা পৃথিবীর নিম্নকক্ষে সফলভাবে স্যাটেলাইট স্থাপন করা। রকেটের জন্য প্রস্তুত বায়োমিথেন জ্বালানি স্থানীয় দুগ্ধ খামারের গোবর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। টোকিওর ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, বিশ্বজুড়ে গ্রিন হাউস নির্গমনের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ গ্যাস আসে গবাদি পশুদের মলমূত্র থেকে। মিথেনের উৎস এটি। যদি ঠিক মতো মিথেনের ব্যবহার করা যায় ও রকেট উৎক্ষেপণের কাজে লাগানো যায় তবে অনেকটাই দূষণ কমবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।