নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পান আলেয়া খাতুন। তাঁর নিয়োগ বহাল রেখে পরিচালনা পর্ষদ ১৪ বছর পর একই পদে নিয়োগ দেয় তাসলিমা আক্তারকে। তখন অবৈধ এই নিয়োগ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেও পাত্তা পাননি আলেয়া। এজন্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নিয়োগের বৈধতা তুলে ধরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আলেয়া খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে আলেয়া বলেন, সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। একদিন বেতন হবে সে আশায়। এভাবে বিনা বেতনে কেটে যায় ১৪ বছর। অথচ একই পদে অবৈধভাবে অন্য একজনকে নিয়োগ দেন তৎকালীন আওয়ামী লীগপন্থি পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। সৃষ্টি হয় জটিলতা। ফলে বৈধ নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও আটকে যায় এমপিওকরণ। তাই বৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত আলেয়া খাতুন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। তাসলিমা খাতুন বলেন, তখনকার পরিচলনা পর্ষদ তাকে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দিয়েছেন। পদটি নিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, আলেয়া বেগম ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগের পর থেকে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই পদে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পাওয়া তাসলিমা খাতুনও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা বিব্রত। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বলেন, সহকারী গ্রন্থাগারিকের পদ ফাঁকা থাকায় সেখানে তাসলিমা নামের এক নারীকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। একই পদে আগে দেয়া নিয়োগের কথা তিনি জানতেন না।
পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে আলেয়ার নিয়োগপত্রে ত্রুটি ছিল। তাই শূন্যপদে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে বিধিমোতাবেক তাসলিমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, সরকারি নিয়োগ বিধিমোতাবেক স্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী গ্রন্থাগারিকের পদ রয়েছে ১টি। ওই পদে দুজনকে নিয়োগ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।