ঘটনাচক্রে, ব্যক্তিত্বহীন ও মেরুদণ্ডহীন শিক্ষক!

মাছুম বিল্লাহ |

১৭ সেপ্টেম্বর মহান শিক্ষা দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,  ‘আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে বড় একটা অংশ ঘটনাচক্রে শিক্ষক। অন্য কোনো পেশায় অনেকেই যেতে পারেননি, শিক্ষকতা কোনদিন তারা চাননি। আমাদের প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। যিনি শিক্ষকতা পেশায় আসবেন, তার জীবনের লক্ষ্যই হবে শিক্ষকতা পেশা। তিনি সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আসবেন।’ একই দিনে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক পরিহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অন্য একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বে যেসব শিক্ষক আছেন, তারা সেখানকার প্রভাবশালী ছাত্রনেতাদের কথায় ওঠেন আর বসেন।’  প্রভাবশালীদের তদবিরে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়।’ ঘটনাচক্রে শিক্ষক অর্থাৎ অধিকাংশ শিক্ষিতরাই শিক্ষক হতে চান না, আবার যারা শিক্ষক হন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও মেরুদণ্ডহীন এবং ছাত্রনেতাদের কথায় ওঠেন আর বসেন। এ অবস্থা তো জাতির জন্য চরম অবমাননাকর, তাছাড়া চরম দুর্ভোগের কথা, চরম অবক্ষয়ের কথা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর পর্যন্ত শিক্ষার যে কি হাল সে কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু যারা সরকার পরিচালনা করেন, তাদের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনলে বিষয়গুলোকে যেন আরও ঘোলাটে মনে হয়। সরকার পরিচালনায় যারা থাকেন তারা তো  এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই ওইসব পদে আছেন, তারা প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রের এবং প্রতিটি দপ্তর ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিভাবক।

আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা যায়, মানসম্মত শিক্ষার ২০ শতাংশ নির্ভর করে শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার ওপর। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে শিক্ষকের ওপর। একজন যোগ্য শিক্ষক গাছতলায় বসেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন। তার মানে হচ্ছে, প্রকৃত শিক্ষকরা সমাজকে পরিবর্তন করতে পারেন। এখন আমরা যদি তা না চাই তাহলে তো মানসম্মত শিক্ষকও চাইব না, মানসম্মত শিক্ষাও চাইব না। ইউনেস্কো পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের শিক্ষার মান ২ দশমিক ৮ শতাংশ, ভারত ও শ্রীলংকায় ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ নিয়ে কি আমাদের কোনো চিন্তা কিংবা উদ্বেগ আছে? আমাদের শিক্ষক নিয়োগ কিভাবে হয়ে আসছে, আমরা কি তা জানি না? আমরা কি সেই ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত নই? সেজন্য কেউ এককভাবে তো দায়ী নয়। সেজন্য শিক্ষকদের দায়ী করলে আমরা দায় এড়াতে পারি? শিক্ষকরা সমাজের বাইরের কেউ নন, তারা এই সমাজেরই অংশ। এই সমাজ যখন চায়, শিক্ষক নিয়োগ দেবেন যাদের পেশীশক্তি আছে তারা, যারা তাদের সঙ্গে সখ্য গড়তে পারবেন তারা হবেন শিক্ষক, অধ্যক্ষ, শিক্ষা প্রশাসক, ভাইস-চ্যান্সেলর ইত্যাদি, তাহলে শুধু শিক্ষকদের দোষ কোথায়? তাদের তো জীবিকা নির্বাহ করতে হবে, তাদের তো বেঁচে থাকতে হবে।

বিভিন্ন বাহিনীর উচ্চপদস্থদের এস্কর্ট করে রাখা হয়, গাড়িতে পাহারা দিয়ে  কোথাও নিয়ে যায়, তাদের গাড়ির সামনে-পেছনে অস্ত্রধারী ও পোশাকধারী বাহিনী থাকে। এমনকি সিভিল প্রশাসনেও উপরস্থদের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান থাকেন। কিন্তু আমাদের অধ্যক্ষদের , ভিসিদের কি অবস্থা? তারা যদি আইনানুগ কোনো কাজ করতে যান, তারা কি তা করতে পারেন জীবনের ভয়ে?  সামান্যতম বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত গেলেই তো পেশীশক্তির অধিকারীরা সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওইসব শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও ভিসিদের ওপর। আমরা কি রাষ্ট্র থেকে তাদের কোনো নিরাপত্তা দিয়ে থাকি? ধরা হয় সভ্য সমাজে শিক্ষকদের , শিক্ষক প্রশাসকদের অন্যান্য বাহিনী কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতো অস্ত্রধারী গার্ড বা রক্ষক থাকার দরকার নেই। কিন্তু আমরা সে রকম সভ্য হয়েছি? কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন, তাদের কথামতো কাজ না করলে কি ক্যাম্পাসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকতে পারেন শিক্ষকরা? তাদের কি কেউ কখনও সত্যিকার অর্থে সাপোর্ট দেন? নিরাপত্তা দেন? তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে এমনকি হত্যার হুমকি দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কি নেওয়া হয়? এসব তো সবাই আমরা জানি, তাহলে শুধু শিক্ষকদের দোষ দিয়ে কি লাভ?

আমরা যদি আসলেই চাই যে দলমতের উর্ধ্বে থাকবে যোগ্যতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পবিত্র স্থান, জাতি গড়ার কারখানা- এ কারখানাগুলোকে তথাকথিত রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে হবে, তাহলে কি তা আমরা করতে পারি না? আমরা যদি চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা হবে, গবেষণা হবে, মানুষ তৈরি হবে, বিজ্ঞানী সৃষ্টি হবেন, শিক্ষক সৃষ্টি হবেন, প্রকৃত রাজনীতিক তৈরি হবেন, তাহলে আমরা তা করতে পারি না? আমরা চাই কিনা সেটাই প্রশ্ন। হয়তো চাইলেও একদিনে বা দ্রুত সম্ভব নয়, কারণ যে ব্যাধি সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শরীরে ও মনে, সেই ব্যাধি সারানো একদিনে সম্ভব নয়। কিন্তু আগে তো তা চাইতে হবে। আমরা যদি চাই শিক্ষকরা, প্রশাসকরা বিধি অনুযায়ী কাজ করবেন , তাদের কোনো ছাত্র সংগঠন কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না, কেউ করলে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া  হবে- তাহলে তো পরিবর্তন অন্তত শুরু হবে। সেই শুরুটা কি আমরা করতে পারি না?  

ক্যাডার সার্ভিসে যারা চাকরি করেন তারা কি সবাই সন্তুষ্ট? তারাও অনেকে  কেউ কেউ ঘটনাচক্রে শিক্ষা, পোস্টাল ক্যাডার কিংবা সমবায় ক্যাডার। ক্যাডারের যত মজা সব প্রশাসন , ফরেন আর পুলিশ ক্যাডারে। বাকি ক্যাডাররা তো ঘটনাচক্রে ওইসব ক্যাডার। তারাওতো ডিসি হতে চেয়েছিলেন, সচিব হতে চেয়েছিলেন । লেখাপড়া করে সবাইকেই প্রশাসন , ফরেন কিংবা পুলিশ ক্যাডারে যেতে হবে, বাকিগুলোর কোনো দাম নেই? বাকিগুলোকে অবহেলা করতে হবে যে, যারা ভাল করেছে তারাই এই তিনটি ক্যাডারে  আছেন, বাকিরা কোনো কাজের নয় বা তাদের মেধা নেই? প্রচলিত পদ্ধতিতে কিংবা যে কোনো পদ্ধতিতেই হোক না কেন, সঠিক মূল্যায়ন কি সব সময় হয়? সব মেধাবীই প্রশাসন আর পুলিশ ক্যাডারে , বাকিদের মেধা নেই- সেটিও কি আমরা হলফ করে বলতে পারি? একইভাবে, অন্য চাকরি না পেয়ে অনেকে শিক্ষক হয়েছেন, এই কথা কি আমরা বলতে পারি? মেধা থাকে ঘুমন্ত, তাকে জাগানো সব পরিবেশে সব অবস্থায় সম্ভব নয়। আমরা মানবিক যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে যাদের মেধাবী বলি, তারা সব সময় তা নাও হতে পারে। তাই যে অবস্থায়ই হোক না কেন শিক্ষকতা পেশায় ঢুকেছেন, তাদের উন্নত করতে হবে, যুগোপযোগী করতে হবে, এটি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশের বৃহত্তর কল্যাণেই তা করতে হবে। কারণ একটি দেশের শিক্ষায় প্রকৃত পরিবর্তন আসলে অন্য সবক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। 

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ব্যাপারে সরকারের কাছে উপাচার্যরা দায়ী থাকেন, যাদেরকে নিয়োগদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ডিন, হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টর-সহকারী প্রক্টররা সরাসরি দায়িত্ব পালন করেন। তাদেরকে নিয়োগ দেন উপাচার্য। এসব পদের বাইরে বিভাগ ও ইনস্টিটিউট প্রধানরা আছেন। ব্যক্তিত্বহীন এসব শিক্ষক কিভাবে সৃষ্টি হলো, ছাত্রনেতাদের কথায় ওঠবস করা শিক্ষকরা কেন এমন হলেন? এতে কার কতটা লাভ হচ্ছে? সরকার যেহেতু এ ধরনের শিক্ষকদের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন, সেই দায়তো সরকারেরই। ১৯৭৩ সালের আইন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে  সিনেট  সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত প্যানেল থেকে উপাচার্য নিয়োগ করার নিয়ম আছে। প্রথমদিকে তা নিয়মিত হলেও পরে সে নিয়ম আর অনুসরণ করা হচ্ছে না। প্যানেলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও এই নিয়ম আর মানা হচ্ছে না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

একটি বিষয় তো সবার কাছে জানা এবং পরিচিত যে, দলীয় বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এটি যারা সরকার পরিচালনা করেন তাদের জন্য হয়তো আপাত ভাল এই অর্থে যে, কোনো ধরনের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয় না সরকারকে, কিন্তু দেশের জন্য, জনগণের জন্য, বিশ্বের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষার জন্য কতটা উপযোগী? এই আপাত  সত্যকে চাপা দিয়ে শিক্ষায় কতদিন মঙ্গল আশা করতে পারি? বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি শেখার জায়গা--সেটি হতে হবে অত্যন্ত আদর্শিক, মানবিক। কিন্তু রাজনীতির নামে কি করছে ছাত্রসংগঠনগুলো! নষ্ট হয়েছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ।  উপাচার্যসহ বিভিন্ন পর্ষদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে অনেক আগেই। সবচেয়ে প্রভাবশালী পর্ষদ সিন্ডিকেটে শিক্ষকরা প্রভাষক থেকে অধ্যাপক এবং ডিন ও প্রভোস্ট পদে ভোটের মাধমে নিজ নিজ প্রতিনিধি ঠিক করেন। কিন্তু লেকচারার, সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকরা নির্বাচিত হওয়ার পর পদোন্নতি পেয়ে উপরের পদে নিয়োগ পেলে সিন্ডিকেটে তাদের শূন্যপদে আর কখনও উপনির্বাচন হয় না। সিনেটের নির্বাচনকে নানা কারণে অটকে রেখে প্যানেলের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ বিধিকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিনের পদ শূন্য হলে কোন উপনির্বাচন করা হয়না। এগুলো কি শুধুই শিক্ষকরা করেন নাকি অন্য কোনো ইঙ্গিত এর পেছনে থাকে? উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে কিছু সুযোগসন্ধানী শিক্ষক ছাত্রনেতাদের যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি ক্ষমতাসীনদের আনকুল্য পেতেও চেষ্টার ত্রুটি করেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের শিক্ষক নিয়োগ কেন পান তারও একটি সুরাহা হওয়া দরকার। তা না হলে শিক্ষার যে অধোগতি শুরু হয়েছে তাকে থামানো বেশ কষ্টকর হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরুদণ্ডহীন  ও চাটুকার শিক্ষক থাকলে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন তাদের জন্য আপাত কিছু সুবিধা হতে পারে, কিন্তু তাতে গোটা শিক্ষার বাজে বারোটা। শিক্ষক রাজনীতিতে অনেকদিন ধরে একটা কথা প্রচলিত আছে- শিক্ষক নিয়োগের তুলনায় দলীয় ভোটার নিয়োগ বেশি গুরুত্ব পায়। তা করতে গিয়ে মেধাবীদের তুলনায় অযোগ্য প্রার্থীরা সুবিবেচনা পায় বেশি। গত ত্রিশ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় নামের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবক্ষয় যেভাবে হয়েছে তা আগে কখনও হয়নি, এমনকি এরশাদের সময়কেও হার মানিয়েছে। এরশাদের সময়ে ছাত্রদের কাছে অস্ত্র ছিল, কিন্তু শিক্ষকরা এতটা অসহায় ছিলেন না। শিক্ষকরা কথা বলতেন তাদের বিরুদ্ধে। এ অবস্থা আমরা আর কতদিন চলতে দেব- সেই প্রশ্নেরও সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন সম্প্রতি বলেন, ‘সরকার বদলের সঙ্গে শিক্ষকদের রং বদল করার রেওয়াজ আছে। যিনি সাদা দল করতেন, তিনি এখন অবলীলায় নীল দল করে বিভিন্ন পদ পেয়ে যান। সরকার পক্ষের শিক্ষকদের রং যত বেশি শক্তিশালী, ক্ষমতাসীনদের পক্ষে তত নিশ্চিন্তে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। শিক্ষকরা সারা বছর তাদের বিভিন্ন পর্ষদের নির্বাচনের জন্য ব্যস্ত থাকেন। অথচ মেধাবী ও যুক্তিশীল ছাত্র নেতৃত্ব বিকাশের জন্য ছাত্রসংসদের নির্বাচনের দায়িত্ব নিতে চান না। সরকারেরও আগ্রহ থাকে না। কেননা, সরকারবিরোধী ছাত্ররা সংখ্যায় বেশি হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে মনমতো পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।’

শিক্ষকতা পেশায় প্রকৃতপক্ষে যাদের প্রয়োজন তারাই যাতে শিক্ষকতায় আসেন, রাষ্ট্রকে সেই ব্যবস্থাই নিতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবস্থা বিরাজ করছে সেটি একদিনে হয়নি, কিন্তু এর সমাধান প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনে সরকারকে যেমন নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পুরো বিষয়টিকে পুনর্নিমাণে এগিয়ে আসতে হবে, তেমনি গোটা শিক্ষক সমাজকে আপাত লাভের দিকে না তাকিয়ে প্রকৃত পেশাদারিত্বের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে চরম অবক্ষয়ের হাত থেকে শিক্ষাকে রক্ষার জন্য। এটি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। 

 লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক এবং প্রেসিডেন্ট : ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004263162612915