ঘুম আমাদের জীবনের জন্য খাবার খাওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। একটি মোবাইল ফোন যেমন চার্জ দিলেই ব্যবহার করা যায় নিয়মিত, ঘুমও তেমন আমাদের প্রতিদিনের কাজ করতে তৈরি করে দেয়।
শরীরে ঘুমের ঘাটতি হলে তার প্রভাব পড়ে প্রতিদিনের সব ধরনের কাজে। আর এতে করে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে, ক্রনিক সমস্যা দেখা দেবে।
ঘুম আমাদের সু-স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় এবং এর ঘাটতি থাকলেই সমস্যা শুরু হবে। সাধারণত আমাদের শরীরের ঘুম এবং জাগার নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরো দিনে মানে ২৪ ঘণ্টায় একবার অন্তত আমাদের ঘুমাতেই হবে।
মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রতিদিন শরীরকে প্রয়োজনীয় ঘুমের অবসর দিতেই হবে। নয়তো দিনের বেলা ঘুম পাবে, ক্লান্তিবোধ গ্রাস করবে, কোনো কাজে উৎসাহ পাবেন না। গাড়ি চালানো বা মনঃসংযোগ করে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে।
সূর্যাস্তের পর যত বেশি সময় আপনি উজ্জ্বল আলোর সংস্পর্শে থাকবেন, তত দেরি হবে ঘুম আসতে। তাই সন্ধ্যার পরপরই খেয়ে নিন আর টিভি ও মোবাইলের স্ক্রিন থেকে যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে ছুটি দিন। সাত-আট ঘণ্টার টানা একটা ঘুম দিয়ে পরদিন ফুরফুরে মেজাজে সুস্থভাবে দিন শুরু করুন।
ঘুম না হলে নিজে নিজে ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।