ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোছা. ফাতেমা খাতুন। তিনি গোন্তা আলিম মাদরাসার আয়া পদে চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। তিনি তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মুনতাসীন মামুন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গোন্তা আলিম মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়া এ চারটি পদের জন্য গত বছরের ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে আয়া পদে যথানিয়মে আবেদন করেন চাকরিপ্রার্থী মোছা. ফাতেমা খাতুন। তার কাছ থেকে তৎকালীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলের নামে অধ্যক্ষ টি আর মো. আব্দুল মান্নান ৬ লাখ টাকা নেন। ফাতেমা খাতুন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ২০২০ সালে অধ্যক্ষ টি আর মো. আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। যার ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ টি আর মো. আব্দুল মান্নান অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ বোর্ড ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে ওই পদগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।