দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম তৈমুর ইভানভ। তিনি গত আট বছর ধরে এই পদে ছিলেন এবং রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
রাশিয়ার শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি মঙ্গলবার গভীর রাতে বলেছে যে, তৈমুর ইভানভকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার মামলার তদন্ত চলছে।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই তাকে আটক করা হলো। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়া ৪৭ বছর বয়সী তৈমুর ইভানভ দেশটির সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। মূলত অ্যাক্টিভিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ায় কথিত ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির সমালোচনা করে আসছেন।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ‘রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে নির্মাণ কাজের সময় দুর্নীতির পরিকল্পনায়’ অংশগ্রহণের জন্য রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকে অভিযুক্ত করেছিল দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন (এসিএফ)। এই সংস্থাটি রাশিয়ার প্রয়াত বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এসিএফ বলছে, বিশেষ করে ইউক্রেনীয় বন্দরনগরী মারিউপোলের নির্মাণ প্রকল্প থেকে লাভবান হয়েছেন তৈমুর ইভানভ। এই শহরের বেশিরভাগই ইউক্রেনে আগ্রাসনের সময় কয়েক মাস চলা রাশিয়ান বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
অবশ্য ইভানভের গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণা করা হলেও রাশিয়ার এই উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া কীভাবে দিয়েছেন তা জানানো হয়নি।
দৈনিক ইজভেস্টিয়া বুধবার সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ইভানভের কিছু সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়।
রাশিয়ান সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ইভানভ দোষী সাব্যস্ত হলে, ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
ফোর্বস ম্যাগাজিন সাইবারনেটিক্স এবং পারমাণবিক শিল্পের বিশেষজ্ঞ ইভানভকে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।