দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: সনদ জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ও বরখাস্ত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে কয়েকজন সাংবাদিকের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও মূলধারার গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। পুলিশ কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিডিওতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শামসুজ্জামান যাদের নাম প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে দৈনিক ইত্তেফাকের নিজামুল হকও রয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করছে দৈনিক ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে যদি কারও কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে তাহলে ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে নিজামুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কারিগরির সনদ জালিয়াতি ও অবৈধ সনদ বাণিজ্যের খবর চাপা দিতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে নিজাম আর্থিক সুবিধা নেন। প্রকাশ হওয়া জেরার একটি ভিডিওতে এমনটাই বলেন শামসুজ্জামান। ইত্তেফাক ছাড়াও বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদকের নাম উল্লেখ করেন তিনি। যাদের মধ্যে দৈনিক সমকালের সাব্বির নেওয়াজ, কালের কন্ঠের শরীফুল আলম সুমনও রয়েছেন।
সমকাল কর্তৃপক্ষ সাব্বির নেওয়াজকে শোকজ করেছে ও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে। আপাতত সাব্বিরকে শিক্ষা বিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সিন্ডিকেটের অপরাপর নামধারী সাংবাদিকদের কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন কেউবা ভয়ে ৪৬ নম্বর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউর দোকানে যাওয়া বন্ধ করেছেন।