দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী টিম। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
রোববার (২৬ মে) যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক জানান, ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন তারা। জেলার সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা হাসপাতালসহ ৮ উপজেলায় ৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত এক থেকে দুজন করে জনবল নিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া জেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ ও উপকরণ পর্যাপ্ত মজুত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কামড় দেয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য মাঠকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় সতর্কভাবে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চলমান সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান নাজমুস সাদিক। একইসঙ্গে যেকোনও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বা সমস্যায় নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এদিকে যশোর রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান টোকন জানান, ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সাথে রেডক্রিসেন্ট যশোর টিম সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলাজুড়ে ১০০ জন ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২০ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঘরের ওপর গাছ পড়ে যশোরে মা-মেয়েসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলায় চারজন, চৌগাছায় দুজন, বাঘারপাড়ার একজন ও মণিরামপুর উপজেলার পাঁচজন ছিলেন।