পিরোজপুরের কাউখালীতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১০) জোড় করে বিয়ে দেয়ার দায়ে তার সৎ বাবা মো. সোয়াইব শেখকে (৩২) ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে খালেদা রেখা এ দণ্ড দেন। দন্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখ উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বেতকা গ্রামের সফিউদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আসপর্দ্দি গ্রামের ভাড়া বাসায় বসবাস করে। আর কনে স্থানীয় হোগলা বেতকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর মায়ের সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত সোয়াইব শেখের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। মায়ের সাধে ছাত্রী তার বাড়িতে বসবাস করত। গত ৪০ দিন আগে ওই ছাত্রীকে উপজেলার বেতকা গ্রামের জুয়েল বেপারীর ছেলে রবিউল বেপারীর (১৯) সাথে জোড় করে বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের পর স্বামীর পারিবারিক অত্যাচার সইতে না পেরে ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দেয়। ইউএনও থানা পুলিশের সহায়তায় ওই দিন সন্ধ্যায় ছাত্রীর সৎ বাবাকে আটক করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই ছাত্রীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সোয়াইব শেখকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।