অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে নেপথ্য হোতাদের খুঁজে বের করা, সিন্ডিকেটে তিন ক্যাটাগরির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে দ্বিতীয়বারের মতো চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায়ে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে সমিতির শিক্ষকেরা বলেছেন, অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গতকাল সোমবার চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকি ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হকের সই করা সাত পৃষ্ঠার চিঠিটি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সিন্ডিকেটে অবশিষ্ট ক্যাটাগরির (ডিন, প্রভোস্ট, একাডেমিক কাউন্সিল ইত্যাদি) শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা; নিয়োগ-বাণিজ্যসংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে নেপথ্য হোতাদের খুঁজে বের করার কার্যকর প্রচেষ্টা গ্রহণ; বিজ্ঞাপিত পদের অতিরিক্ত কিংবা বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশবিহীন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, বাতিলকৃত আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের সুরাহা এবং দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমিতির দাবিকে উপেক্ষা করে পরিচালিত বিভিন্ন অনিয়ম অসংগতির ব্যাপারে সন্তোষজনক ও গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ২০ মার্চ উপাচার্যকে চিঠি দেয় শিক্ষক সমিতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্তোষজনক কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আগামী সাতকর্মদিবসের মধ্যে উল্লিখিত দাবিসমূহের ব্যাপারে দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তা আদায়ের কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো ইস্যুতে যখন-তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুমকি কিংবা মারধর এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পানিসংযোগ বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করার মতো চরম নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ডসমূহ মোকাবিলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার এবং সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
এ ছাড়া চিঠিতে শিক্ষকদের জন্য আটটি এসি বাস, টেলিফোন ভাতা, শহরে চিকিৎসাকেন্দ্র চালু, জীববিজ্ঞান অনুষদের লিফট চালুর দাবি জানানো হয়। এর বাইরে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের সঙ্গে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হকের অসৌজন্যমূলক আচরণের
বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিনের নির্দেশনায় একই বিভাগে পিএইচডি কোর্সে গবেষণারত সহকারী অধ্যাপক তনিমা সুলতানার জমাকৃত থিসিসের মূল্যায়ন রিপোর্ট সন্তোষজনক হওয়ার পরও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানে হয়রানি না করা, প্রশাসন কর্তৃক অসৌজন্যমূলকভাবে বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত শিক্ষকদের অব্যাহতি প্রদান, নামফলক থেকে নাম মুছে দেওয়া, পদত্যাগকারী শিক্ষকদের ব্যাপারে অশালীন বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ জানানো হয়।এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।