চবি ছাত্রলীগ সভাপতির পা টেপানোর সেই ছবি ভাইরাল

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

দুই নেতাকে দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের পা টেপানোর একটি ছবি নিয়ে     দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের একটি কক্ষ থেকে তোলা সেই ছবিতে দেখা যায়, চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক শুয়ে মোবাইলে কিছু একটা দেখছেন। আর দুই পাশে দুই নেতা বসে তার পা টিপছেন। এদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ এবং অপর জন উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম।

পা টেপানোর এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। নিয়াজ আবেদিন পাঠান নামে একজন ফেসবুকে ছবিটি দিয়ে লিখেছেন-  ‘যোগ্যতার চেয়ে বেশি কিছু পেয়ে গেলে হয়তো এমনি হয়। আমরা গর্বিত এমন সভাপতি পেয়ে।’ মুহূর্তেই ছবিটি ভাইরাল হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এমন দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
চবি ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, এগুলো নতুন নয়। ছাত্রলীগ সভাপতি বিভিন্ন সময় তার কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তবুও তিনি নিজেকে শুধরাননি।

তাছাড়া কর্মীরা বেশির ভাগ তার ৮/১০ বছরের ছোটো, তাহলে এমন কাজ তো করানোই স্বাভাবিক। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা না থাকায় এরকম সেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছে। কেউই ছাত্র থাকা অবস্থায় নেতৃত্বের সুযোগ পান না। তাই ছাত্রলীগের অনুসারীরা ধরেই নিয়েছেন নেতৃত্বে আসতে হলে ক্যাম্পাসে ৮-১০ বছর থাকতে হবে কমপক্ষে। আমাদের এ জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত। 

এদিকে এই ভাইরাল ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা থাকি আমাদের বাবা-মা আমাদের সঙ্গে থাকেন না। এখানে আমরা একে অন্যের পরিবার হিসেবে পাশে থাকি, কেউ যখন অসুস্থ হয়, তখন আমরাই একে অন্যকে সেবাযত্ন করি। ঠিক সেই রকমেই এক দুই কিংবা আড়াই বছর আগে, আমি খুব অসুস্থ হলে এবং আমার শরীরে ইউরিক এসিড বেড়ে যায় এবং আমার পা দুটি ফুলে যায়। শুধুই মানবিক দিক বিবেচনায় আমার ছোট ভাইরা, আমার সেবাযতœ করে। যেটা আমার পরিবার থাকলেও করতো।’ তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেউ একজন এই ছবি তুলে রেখে আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য ফেসবুকে  ছেড়ে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষের সেবা করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধ মাথা পেতে নেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী একে অন্যের সেবা করে। কারণ আমাদের এখানে পরিবার থাকে না। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেই এই সাধারণ বিষয়টাকে বাজেভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চবি’র পরিসংখ্যান বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের এ শিক্ষার্থী রেজাউল হক রুবেল। ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর পাস করা রুবেল এখনো শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষটি দখল করে রেখেছেন। অন্তত ১৭ বছর ধরে তিনি ক্যাম্পাসে বসবাস করছেন। এর আগে নারীবিষয়ক বিভিন্ন ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হন রুবেল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি নিয়ে সংঘাতে জড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037720203399658