চমেক ছাত্রলীগের ৩১ নেতাকর্মী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক |
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিত ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে আটজনকে দুই বছর, দুজনকে দেড় বছর এবং বাকিদের এক বছর মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে শাস্তি হওয়া একজনের এরই মধ্যে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্তের আওতায় পড়ছেন না।   
 
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে এসব তথ্য জানান চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার।
 
তিনি বলেন, গত ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর সংঘর্ষের পর সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা তদন্ত করে গতকাল (সোমবার) প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রতিবেদনটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এরপর ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয় এবং ২৭ নভেম্বর কলেজ ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
প্রতিবেদনে সংঘর্ষের নেপথ্যে কী উল্লেখ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চমেকে সংঘর্ষের নেপথ্যে একমাত্র আধিপত্য বিস্তারকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। এর বাইরে তারা কিছু মন্তব্য করেননি। 
 
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৯ অক্টোবর চমেকের প্রধান ছাত্রাবাস এবং ৩০ অক্টোবর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে চমেক ক্যাম্পাসের পাশে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে মাহদী জে আকিব নামে দ্বিতীয়বর্ষের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার মাথার ব্যান্ডেজে ‘মাথায় হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ এমন একটি লেখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোড়ন সৃষ্টি করে। এসব ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য চমেক বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে দায়িত্বে আসেন উপমন্ত্রী নওফেল। তখন থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেলের অনুসারী গ্রুপ। এরপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ কিছুদিন পরপর সংঘর্ষে জড়াতে থাকে এবং পাল্টাপাল্টি মামলাও হতে থাকে। সর্বশেষ ২৯ এবং ৩০ অক্টোবর ঘটনার পর মোট তিনটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়।
 
এর মধ্যে ৩০ অক্টোবর দিবাগত রাতে নওফেল গ্রুপের মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় নাছির গ্রুপের ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১ নভেম্বর নাছির গ্রুপের মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় পাল্টা মামলা করেন। ওই মামলায় নওফেল গ্রুপের ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ৩ নভেম্বর নওফেল গ্রুপের ইমন সিকদার বাদী হয়ে চকবাজার থানায় নাছির গ্রুপের ১৬ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় মামলা করেন।

পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047879219055176