সারা দেশে চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। বৃহস্পতিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনটি বলছে, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও সংখ্যালঘু পরিবার, ভাস্কর্য, স্থাপনা, শিল্পালয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যাদুঘর, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের ওপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ, লুট, ভাংচুর, হত্যা, হুমকি চলছে।
এমনকি রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের চিন্তক, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারও হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছেন। পুলিশ বাহিনী ও থানাও আক্রমণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসনের জন্য এমন নৈরাজ্য একেবারেই সহায়ক নয়।
‘আমরা স্মরণ করছি, বাংলাদেশ সেনাপ্রধান দায়িত্ব গ্রহণের পরপর জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন, তিনি জাতির দায়িত্ব নিচ্ছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকলকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন।
তার এই যুক্তিসঙ্গত আহ্বানে নৈরাজ্যকারীরা কর্ণপাত করেনি। আমরা আশা করবো অতি সত্ত্বর সেনাপ্রধান, রাষ্ট্রপতি এবং আসন্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেবেন। আমরা আশান্বিত যে সেনাবাহিনী থেকে ইতিমধ্যে কিছু জরুরি ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে।
কিন্তু গতকাল বুধবার সঙ্গত প্রয়োজনে অনেকেই সেই নম্বরে প্রবেশ করে সহায়তা চাইতেই পারেননি। আশাকরি এই ব্যাপারে দ্রুত আরও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। আমরা আরো আশা করবো, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।