দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চা শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হতে হবে বাগান মালিকদের। শ্রমিকদের অধীনস্থ বলে বিবেচনা করা যাবে না। তাদের প্রতি আরো বেশি যত্নবান হতে হবে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের সন্তানরা যেন ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাগানের স্কুলগুলো যাতে ভালোভাবে চলে সেদিকে আমাদেরও নজর থাকবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪র্থ 'জাতীয় চা দিবস' উদযাপন ও 'জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪' প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, চা খাতে সরকার গুরুত্ব বাড়িয়েছে। চা অর্থকারী ফসল, যা দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিতে সাহায্য করছে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ায় এটির চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। তাই চা শিল্পকে আরো গুরুত্ব বেশি দিতে হবে।
তিনি বলেন, চা শ্রমিকরা ভাসমান থাকবে কেন? তারা ভাসমান থাকবে না। সেজন্য আমাদের যা যা করার দরকার তা করা হবে। আবার চা বাগানে সোলার প্যানেল করা একান্তভাবে দরকারি, তাহলে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে।
বাগান মালিকদের উদ্দেশ্যে করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অভিভাবকদের মতো করে শ্রমিকদের দেখবেন, যাতে তাদের জীবনমান উন্নতি হয়। চা শ্রমিকরা যাতে আবাসন থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ পায়, তার ব্যবস্থা আপনারা করবেন।
চা উৎপাদন বহুমুখি করার দিকে নজর দিতে হবে-এ কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
চা খাতে সরকার গুরুত্ব বাড়িয়েছে। এটি দেশের অর্থকারী ফসল, যেটা দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিতে সাহায্য করছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ায় এটির চাহিদাও দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। তাই চা শিল্পকে আরো গুরুত্ব বেশি দিতে হবে। যাতে রফতানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা যায়। এ নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে এবং বিশেষ নজর দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাই চা শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। আমার হাতের বালাও চা শ্রমিকদের দেয়া উপহার।
একটা সময় পঞ্চগড়ের পাশেই ভারতে চা বাগান হচ্ছে দেখে তখনকার ডিসিকে বলেছিলাম এখানেও চা চাষের উদ্যোগ নিতে। আবার বিরোধীদলে থাকতেই কাজী শাহেদ আহমেদকে বলেছিলাম চা বাগান করতে। তিনি উদ্যোগী হন। এরপর চা বাগান করতে শুরু করেন। ক্ষমতায় আসার পর সেটির আরো বিস্তার লাভ করতে কাজ করা হয়। পঞ্চগড়ে চা বাগান সফল হওয়ায় পর উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও বিস্তার হচ্ছে এটির।
দেশে চায়ের উৎপাদন যেমন বেড়েছে সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে। অ্যারোমা টি, হারবাল টি বিভিন্ন ধরনের চা উৎপাদন করতে হবে আমাদের আবার মানও বাড়াতে হবে। আর তাই এটি নিয়ে গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। আর বিশেষ নজর দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
অবশেষে চা শ্রমিকরা কিন্তু অন্য কোথাও ভোট দেয় না। তারা নৌকায়ই ভোট দেয়। অনেকে অনেক চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা নৌকায় ভোট দেয় বলেও উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।