কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শুধু কথায় নয় কাজে প্রমাণ করতে হবে। আমি আসার পর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি দুর্নীতি রোধ করতে। অফিসে না এসে বেতন নেয়াকে বলে দুর্নীতি। দুর্নীতির জন্য পেনাল্টি দেয়াই যায় কিন্তু এথিক্স, মোরালিটি, ভ্যালু এই তিনটি জিনিস না থাকলে দুর্নীতি আইন দিয়েও বন্ধ করা যাবে না। আমার চাকরি থাকুক আর না থাকুক, আমি দুর্নীতি করবো না। যারা কাজ করবে তাদের অবশ্যই রিওয়ার্ড দেবো কিন্তু কাজ না করলে কোনো প্রমোশন হবে না।
গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান উপলক্ষে কুবিতে অনুষ্ঠিত এক র্যালি শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই বছর থেকে শুদ্ধাচার পুরস্কার চালু করবো। যারা ভালো কাজ করবে তাদের এই পুরস্কার দেয়া হবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বলেন, আজকে র্যালিটা মূলত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে। দুর্নীতি যে খারাপ কাজ এই ধারণা সমাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। সচেতনতা বৃদির পথ হচ্ছে নিজে আগে বিরত থাকা। বাংলাদেশের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে পানের দোকানে পান নিতে গেলে অন্যমনস্ক হলেই পচা সুপারি দিয়ে দেয়। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তুলবো যাতে তারা যখন কর্মক্ষেত্রে যাবে তখন যেনো দুর্নীতি থেকে বিরত থাকে। তবেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারবো।
র্যালিতে আরো অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, র্যালির আয়োজক এবং বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ও ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা: হাবিবুর রহমান। র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনের সঞ্চালনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত শিক্ষকরা।