চাকরি ফাঁদে ছাত্রকে আটকে মুক্তিপণ দাবি, আটক ৩

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি |

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে এক কলেজছাত্রকে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে মুক্তিপণ দাবি করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের সন্ন্যাসতলী নামের স্থানে এ অভিযোগে তিন প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার মালিপাড়া মহল্লার রেজাউলে ছেলে একরামের (৩৭)  সঙ্গে কিছুদিন আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় সাহাজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামে সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজছাত্র আমির হোসেনের (২২)। আমির হোসেনকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের বেসামরিক চাকরি দেয়ার লোভে ডেকে আনেন একরাম ও চার সহযোগী।

ওই ছাত্রকে কৌশলে সিরাজগঞ্জ থেকে জয়পুরহাটের নতুন হাটে নিয়ে আসেন, সেখান থেকে তার চার সহযোগী অটোভ্যান যোগে বিভিন্ন এলকায় ঘুরে বিকেল ৪টায় ক্ষেতলাল উপজেলার সন্ন্যাসতলী এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে জিম্মি করে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরিবারে কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ওই চক্রকে ৫১ হাজার টাকা দেয়। চক্রের সদস্যরা টাকা পাওয়ার পরে আমির হোসেনকে এক স্থানে থেকে অন্য স্থানে ভ্যানে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতি দেখে ভ্যান থেকে লাফিয়ে পরে ঘটনাটি জানায় কলেজছাত্র আমির। চক্রের সদস্যরা ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ওই চক্রের ৩ জনকে আটক করে বাকি ২ জন পালিয়ে যান।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ধনতলা গ্রামের তোজাম আকন্দের ছেলে পলাশ আকন্দ (২২),পৌর এলাকার জালিয়াপাড়া আমিনুর রহমানের ছেলে রানা (২৩)।

 মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আটক করে আমাকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশে পাঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা থানায় নিয়ে যায়।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে ঘনটাস্থল থেকে ভুক্তভোগী ও প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে থানা নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023720264434814