গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদের সভাপতির অনুমতি ছাড়া অন্যের গরু কোরবানি দেয়ার ঘটনায় লাঞ্ছিত ও চাকরিচ্যুত মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিককে ওই মসজিদের ইমাম হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এ সময় তার বেতন দেড় হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাব দিলে সকলের সম্মতিতে তা গৃহীত হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলা ইমাম সমিতি ও ওলামা পরিষদের নেতারা মসজিদ কমিটির সঙ্গে ঘটনার মীমাংসা করে ইমামকে তার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক (২৫) শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্নপুর মাদরাসার ছাত্র। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি ভাংনাহাটি (মধ্যপাড়া) বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীনের হাতে লাঞ্চিত ও চাকরিচ্যুতির পর এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ইমাম মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক। ঘটনার চারদিন পর বিষয়টি মীমাংসা হলে তিনি ২০ জুন দুপুর থেকে ওই মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব বুঝে নেন। ইমামের সাথে ঈদের দিনের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ।
মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, শ্রীপুর উপজেলা ইমাম সমিতি ও ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমি মসজিদে ইমামিতর চাকরিতে পুনরায় যোগদান করেছি।
কফিল উদ্দীন তার ভুল স্বীকার করে বলেন উভয় পক্ষ থেকে সমাধানের জন্য বসা হলে সকলের সম্মতিতে বিষয়টি সমাধান করে ইমামকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে। এখন আর আমাদের কারও মাঝে কোনো ক্ষোভ নেই।
শ্রীপুর উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একজন ইমাম মসজিদ কমিটির সভাপতির হাতে লাঞ্চিত ও চাকরিচ্যুতি হয়েছিলেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি তার ভুল স্বীকার করে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করেছি। গাজীপুর জেলা ইমাম সমিতির নেতারাসহ আমরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।
১৭ জুন ঈদের দিন শ্রীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি (মধ্যপাড়া) বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমামকে লাঞ্চিত ও চাকরিচ্যুত করেন ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি।