দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে তালিকায় নাটোরের লালপুর উপজেলার এক সরকারিসহ মোট ৫ টি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষকের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন এমপিওভুক্ত বাকি দুইজন এমপিও ভুক্ত নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বেতন ভাতা বাবদ অবৈধভাবে ৩০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা গ্রহণ করায় তা তাদের ফেরত দিতে হবে।
লালপুর উপজেলায় জাল সনদধারী শিক্ষকদের মধ্যে আছেন, করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ে এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক ছালমা খাতুন। তার গ্রহণ করা টাকার পরিমান ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫০ টাকা। আরো আছেন একই স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের ননএমপিও সহকারী শিক্ষক আল মামুন ও ফুড প্রসেসিং বিষয়ের ননএমপিও ট্রেড ইন্সট্রাক্টর আবু রায়হান।
ওয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইজন জাল সনদধারী শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। তারা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিলুফা নাজনীন ও আরিফুল ইসলাম। নিলুফা নাজনীন অবৈধভাবে ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও আরিফুল ২ লাখ ৯৯ টাকা এমপিওবাবদ আত্মসাৎ করেছেন।
লক্ষণবাড়িয়া চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয় ও বি এম কলেজের দুইজন শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। তারা হলেন এমপিওভুক্ত হিন্দু ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক বেবী রানী কর্মকার ও এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক চাইনা ইয়াসমিন। বেবী রানী কর্মকার ৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৫ টাকা ও চাইনা ইয়াসমিন ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৫ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন।
জাল শিক্ষকদের মধ্যে আছেন, কলসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত ধর্ম শিক্ষক আব্দুল জলিল (আত্মসাৎ করা টাকার পরিমান ২ লাখ ৯২ হাজার ৭৭৫ টাকা) ও বরমহাটি সমবায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষক সবিতা রানী (আত্মসাৎ করা টাকার পরিমান ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৫ টাকা)।
সাত শিক্ষকের মোট গ্রহণকৃত অর্থের পরিমান ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩০ টাকা। যা ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষকদের এমপিও বন্ধ করে এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে।