সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা ৩৫ করার দাবিসহ কয়েক দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের সংগঠন ‘চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীদের সমন্বয় পরিষদের’ আহ্বায়ক শরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনরতদের। সেই সঙ্গে আটকৃতদের মুক্তি না দিলে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহুতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরতদের কেউ কেউ। তবে ৩৫ প্রত্যাশীদের নেতারা বলছেন, তারা আন্দোলনরত সাধারণ প্রার্থীদের এ সিদ্ধান্ত থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এমন হুমকি দেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার মুহূর্তে পুলিশ আমাদের বলে যে, তারা ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবেন। সেই শহীদ মিনার ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় বেধে দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেয়া হয়। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেই সবাই শাহবাগ থানায় আত্মসমর্পণ করবো। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাহবাগ থানার উদ্দেশে হাত উঁচু করে যাত্রা শুরু করি, শাহবাগ থানার কাছাকাছি আসা মাত্র ধাওয়া দিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা হাত উঁচু করে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছি কিন্তু পুলিশ আমাদের পিটিয়েছে। টতে ৯-১১ জনকে আটকও করেছে। যদি আটককৃতদের মুক্তি দেয়া না হয়, অনেক আন্দোনকারী শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারপরেও আমরা আন্দোলকারীদের এমন সিদ্ধান্ত দূরে রাখার চেষ্টা করছি। আমরা আহ্বান জানাব আটককৃতদের পুলিম অবিলম্বে মুক্তি দেবেন। তাছাড়া আমরা চাই না এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে কোন মা তার সন্তান হারাক।
সরকারি চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর, অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বঙ্গবন্ধুর নামে ল’ কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিতে গত ৩০ আগস্ট থেকে আন্দোলনে আছেন তারা।