বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি কালেঙ্গা গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারের বিরুদ্ধে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৩ জুলাই বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদার ও তার বড় ভাই রাকিবুল আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে একটি নালিশি অভিযোগ দায়ের করেছেন একই বাড়ির নাসির হাওলাদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম।
জানা যায়, নাসির হাওলাদারের মেয়ে লোপা আক্তার দাড়িয়াল ইউনিয়নের আলহাজ হযরত আলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রী ছিলেন। লোপার বাবা নাসির হাওলাদার ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হাওলাদারের চাচা। আর লোপা আক্তার রিয়াজ হাওলাদারের চাচাতো বোন।
লোপা আক্তারের মা জেসমিন অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে লোপা আক্তারের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে আমার মেয়েকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রিয়াজ। আমার মেয়ে লোপা ২২ জুন রাতে ঘরের সামনের রুমে খাটের ওপর একা ঘুমাতে যায়। আমি ভোর সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়তে আমার মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমার ছেলে মেহেদী ও পাশের ঘর থেকে রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল এসে লোপার ঝুলন্ত মরদেহ জানালার গ্রিল থেকে খুলে নিচে নামায়। এ সময় আমাকে ডাকচিৎকার দিতে মানা করে রিয়াজ। এ সময় রিয়াজ বলে যা হওয়ার তা হয়েই গেছে লোপা তো আর ফিরে আসবে না। মানুষ যদি জানে লোপা আত্মহত্যা করেছে, তাহলে মান-সম্মান নষ্ট হবে। আমি তখন আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন রিয়াজ ও তার ভাই রাকিবুল বলে লোপা হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে এ কথা সবাইকে বলবেন। সকাল হলে সবাইকে বলি হার্ট স্ট্রোক করে লোপা মৃত্যুবরণ করেছে।
এ বিষয়ে দাড়িয়াল ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ হাওলাদারকে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।