চাচার ঋণে স্কুলছাত্রীর বৃত্তির টাকা আটকে দিলো ব্যাংক

রাজশাহী প্রতিনিধি: |

সানজিদা সুলতানা জয়া মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ট্যান্টেলপুলে বৃত্তি পাওয়ায় সরকারিভাবে তিনি ৫ হাজার ৯০০ টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংক মুন্ডুমালা হাট শাখার ৪৬২৬৮০১০০০০৮২ হিসাব খুলেছেন সানজিদা। তার সেই হিসাব নম্বরে পাঁচ হাজার ৯০০ টাকা জমা হয়েছে।

বৃত্তির টাকা ব্যাংকে আশায় বেশ আনন্দে টাকা উঠাতে দরিদ্র বাবা-মামাকে সঙ্গে নিয়ে ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্যাংকে যান জয়া। 

ব্যাংক ম্যানেজার মিঠুন কুমার দেব স্কুল ছাত্রীকে সাফ জানিয়ে দেন, তোমার চাচা আতাউর রহমানের পুরনো ক্ষুদ্র ঋণের বকেয়া রয়েছে। তাই তোমার বৃত্তির টাকা কেটে ঋণ পরিশোধে জমা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

ম্যানেজারের এমন কথা শুনে স্কুলছাত্রী জয়া ব্যাংকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। দরিদ্র বাবা শহিদুল ইসলাম ম্যানেজারকে তার মেয়ের বৃত্তির টাকা দেয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলে তাকেও ধমক দিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন।

স্কুল ছাত্রীর বাবা শহিদুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমার বড় ভাই আতাউর রহমানের কাছে ক্ষুদ্র ঋণের বকেয়া পাবে সোনালী ব্যাংক। কিন্তু আমার মেয়ের বৃত্তির টাকা কেটে নেবে কেন? ঋণের বকেয়া টাকা আমার ভাইয়ের কাছ থেকে নেবে, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। 

সোনালী ব্যাংক মুন্ডুমালাহাট শাখার ম্যানেজার মিঠন কুমার দেব বলেন, স্কুল ছাত্রীর চাচার কাছে অনেক পুরনো একটি ঋণের কিস্তি আছে। আর সেই ঋণটার বিষয়ে ছাত্রীটির বাবার সাথে আলাপ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হয়। যার ফলে ছাত্রী বাবার বৃত্তির টাকা না নিয়ে ব্যাংক থেকে চলে যায়। বৃত্তির টাকা আটকানোর বিষয়টি অস্বীকার  করেন তিনি। 
তানোর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিষয়য়টি তার জানা নেই। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, স্কুল ছাত্রীর বৃত্তির টাকা অন্য খাতে কেটে নেয়ার এখতিয়ার ব্যাংকের নেই। ছাত্রীর বাবার মোখিক অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি। তিনি সোমবার  ছাত্রী ও তার বাবাকে ডেকে টাকা দিয়ে দিবে বলে ব্যাংক ম্যানেজার আমাকে জানিয়েছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024697780609131