দৈনিক শিক্ষাডটকম, গোপালগঞ্জ : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হলো লামিয়া (১৬) ও তার মা বিউটি বেগমকে (৩৮)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে লামিয়ার ছোট বোন অন্তরাও (১২)।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে ঘটিনাটি ঘটেছে। নিহতরা এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৬) ও তার মা বিউটি বেগমকে (৩৮)।
এ ঘটনায় আহত কিশোরীর নাম অন্তরা (১২)। সে নিহত লামিয়ার ছোট বোন। নিহত ও আহতরা ওই এলাকার কৃষক টুকু মিনার স্ত্রী ও মেয়ে। লামিয়া জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বড় ভাই হারুন মিনার সঙ্গে মেজো ভাই টুকু মিনার বাড়ির জমির সীমানা বিরোধ চলছিল। রোববার সন্ধ্যায় টুকু মিনার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া বাড়ির সীমানায় দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। তখন বড় চাচা হারুন মিয়া লামিয়াকে ওই স্থানে থেকে সরে যেতে বলেন।
এ নিয়ে লামিয়ার সঙ্গে চাচা হারুন মিনার ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। তখন লামিয়ার মা বিউটি বেগম ও ছোট বোন অন্তরা ঘটনাস্থলে এলে চাচা হারুন মিনা দেশীয় অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে লামিয়া ও তার মা বিউটি বেগমের পেটে কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে লামিয়া ও তার মায়ের মৃত্যু হয়।
এ সময় অন্তরা ঠেকাতে গেলে অন্তরার হাতেও কোপ লাগে। পরে স্থানীয়রা হতাহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত অন্তরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমাস আল রাজী বলেন, এ ঘটনায় হারুন মিনা ও তাঁর স্ত্রীসহ জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।