চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ৪ শিক্ষার্থীকে কলেজ ছাত্রাবাসে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা তদন্তে চমেক অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আক্তার।
তিনি বলেন, '৯ সদস্যের চমেক অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।'
চমেকের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম এই কমিটির প্রধান।
এদিকে আইসিইউতে ভর্তি ২ শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চমেক হসপাতালের আইসিইউ ও অ্যানেস্থেসিওলজির সহযোগী অধ্যাপক প্রণয় কুমার দত্ত।
তিনি বলেন, 'আইসিইউতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে ভালো বোধ করছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কিত পরীক্ষা নিরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট আমরা এখনও পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা তাদের চিকিত্সার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।'
কলেজ ছাত্রাবাসে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের।
তিনি বলেন, 'আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।'
উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ৪ শিক্ষার্থীকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার ৪ শিক্ষার্থী হলেন- জাহিদ হোসেন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এমএ রায়হান ও মোবাশ্বের হোসেন শুভ্র। তারা সবাই এমবিবিএস ৬২ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
তাদের মধ্যে জাহিদ ও সাকিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি।
মারধরের ঘটনায় জড়িতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চমেক ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাস।