পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক চার বছর পর যোগদান করে ফের তিনি এক মাসের ছুটিতে গিয়েছেন। ওই শিক্ষকের নাম রেজাউল আহসান রাজু।
জানা যায়, সহকারী শিক্ষক হিসাবে রেজাউল আহসান রাজু বিগত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি ৬৭ নং নিজ ভাণ্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন। এরপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত একটি আই.সি.টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্ব পান তিনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন খলিফা এক প্রকার দলীয় বিবেচনায় তাকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ সেপ্টেম্বর এ দায়িত্ব দেন। পরে জানা যায়, শিক্ষক রাজু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালনের নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি করেন। সেই সাথে তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে ইটভাটার ব্যবসা করতেন।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রক্ষাণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বের আদেশ গত ২ সেপ্টেম্বর বাতিল করে বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম শিক্ষক রেজাউল আহসান রাজুকে পুনরায় ৬৭ নং নিজ ভাণ্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করার নির্দেশ দেন। শিক্ষক রাজু এ আদেশ পেয়ে ৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ে যোগদান করেন এবং ওই দিনই এক মাসের চিকিৎসা ছুটিতে চলে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. রাজ্জাক জানান, শিক্ষক রাজু ডেপুটিশনে ছিলেন বিধায় শুধু হাজিরা দিয়ে বেতন ভাতা উত্তোলন করতেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল আহসান রাজু জানান, ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগ করতেন। তবে বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলামের কাছে শিক্ষক রাজুর হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।