মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ জন শিক্ষক নেতা-কর্মচারীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বুধবার মাদারীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম আলমগীর হোসাইন ওই ৪ আসামির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার জানান, মাদারীপুর জেলার রাজৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও একই উপজেলার নরারকান্দি গ্রামের বিথী আক্তার শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণে গঠিত ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি দুই লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে কিস্তি বাবদ তিনি জমা দিয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩ টাকা। ওই প্রতিষ্ঠানে তার সঞ্চয় জমা রয়েছে ২২ হাজার টাকা। সঞ্চয় ও কিস্তি বাদে তার কাছে প্রতিষ্ঠানের পাওনা ছিল মাত্র ১১ হাজার ৯১৭ টাকা।
বিথী আক্তার এর বিজ্ঞ আদালতে দাখিলকৃত আর্জি থেকে বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, ঋণ দেয়ার সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের লোকজন তার কাছ থেকে একাধিক অলিখিত চেকে জোর করে স্বাক্ষর রেখে দেয় এবং ১১ হাজার ৯১৭ টাকা পাওনার বিপরীতে অলিখিত একটি চেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬১ টাকা লিখে এন আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় একটি মামলা করেন। (সিআর ৩৩৭ (রাজৈর)। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এ এম ফরহাদ রাহী মীর, এস.আই, জেলা গোয়েন্দা শাখা, মাদারীপুর চলতি বছর ২ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০ ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ওই প্রতিষ্ঠান ঋণ বিতরণের সময় বিথী আক্তারের কাছ হতে ৮টি ব্লাংক (অলিখিত) চেকে স্বাক্ষর রেখেছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আসামি সুনীল কুমার বিশ্বাস, জয়দেব বিশ্বাস, উজ্জ্বল কুমার দাস এবং মাহাবুব হোসেন শিকদার বাদীর সরলতার সুযোগে অলিখিত চেকে স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক ইচ্ছা মাফিক টাকার অংক লিখে উক্ত চেকের অনূকূলে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের প্রতারণা করেছেন।
মাদারীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে.এম আলমগীর হোসাইন ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে উপরিউক্ত ৪ জন আসামির নামে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।