চীনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। খবর রয়টার্স।
শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভির বরাত দিয়ে জানানো হয়, ‘সম্প্রতি সাংহাইতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কমরেড লি কেকিয়াং। ২৬ অক্টোবর আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তাকে বাঁচানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শুক্রবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে মধ্যরাতে সাংহাইতে মারা যান।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রায় ১০ বছর চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মাত্র ১০ মাস আগে চীনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসরে যান কেকিয়াং। গত বছর অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন।
এদিকে বিবিসি বলছে, ক্ষমতার প্রথাগত কোনো ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও লি কেকিয়াং দলীয় উচ্চপদে উন্নীত হয়েছিলেন। তবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার চারপাশে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সঙ্গে সঙ্গে কেকিয়াং তার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে ক্ষমতা কাঠামোতে সাইডলাইনে পড়ে গিয়েছিলেন।
নিজের শেষ মেয়াদে কেকিয়াংই ছিলেন একমাত্র পদস্থ শীর্ষ কর্মকর্তা যিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুগত গোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিলেন না। অভিজাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত এই নেতা অর্থনৈতিক নীতিতে বাস্তববাদী হওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে লি কেকিয়াং চীনের প্রধানমন্ত্রী হন। উদারপন্থি হিসেবে পরিচিত এই নেতা চীনের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিসরে পরিবর্তন আনতে কাজ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা ছিল।
পশ্চিমা বিশ্লেষকদের অনেকে এই প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদকে নিয়ে আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু বলা হয়, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নানাভাবে তার ক্ষমতা খর্ব করে দিয়েছিলেন।