মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে মো. সিয়াম (১২) নামে এক ছাত্রকে আখ চুরির অপবাদ দিয়ে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি ওই ছাত্রকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নের পূর্ব নিতীরা গ্রামে ওই শিশুটিকে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতন করেন একই গ্রামের মো. করিম মাদবর (৬০)।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, স্থানীয় তিন কিশোর করিম মাদবরের ক্ষেতের আখ চুরি করে খায়। পরে সন্দেহ থেকে সিয়ামকে ধরে এনে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেন করিম মাদবর। এ সময় ওই শিশুটি চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘দাদা আমি চুরি করি নাই। প্রয়োজন হলে আমি আপনাকে আখের দাম দিয়ে দিবো। আমাকে মারবেন না।’ তার পরও করিম শেখ ওই শিশুকে পিটিয়ে একটি লাঠি ভেঙে ফেলেন।
স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনের শিকার সিয়াম উপজেলার সোনারং গ্রামের মো. টুকু সরদারের ছেলে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ও মার এর অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় নানা মো. মন্নান শেখের কাছেই পূর্ব নিতীরা গ্রামেই বড় হয় শিশুটি। সিয়াম নিতিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
শিশুটির চাচা আলমগীর সর্দার বলেন, যারা আখ চুরি করছে তাদের না ধরে আমার শিশু ভাতিজাটিকে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করবো।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত করিম মাদবরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অমানবিক কাজ করেছে করিম মাদবর। এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার ব্যবস্থা নিতে পারে।
আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হালদার বলেন, আমার কাছে এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।
টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, শিশু নির্যাতনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।