উপহার না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষকসহ কয়েক শিক্ষার্থীকে মারধর, মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া ওয়াছিম পাঠশালার (হাইস্কুল) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার পরও কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ওই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান ছিল বৃহস্পতিবার।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা এবং বক্তব্য দেওয়ার পর পাকন এবং ডাবলু অন্য অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য চলে যান। যাওয়ার আগে ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করবেন, এমনটি তাঁরা বলে যান। এ সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে ওই দুজনকে উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান যেহেতু থাকবেন, সে জন্যই তাঁকে ওই সময় কোনো উপহার দেওয়া হয়নি। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠান থেকে চলে যান। পরে তাঁর অনুসারীরা লোহার পাইপসহ অনুষ্ঠানে এসে মাইক ভাঙচুর ও বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় ঠেকাতে গেলে তাঁদের এলোপাতাড়ি মারধরে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী আব্দুল আজিজসহ বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুন্তাজ আলী বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, ‘আহমেদ শরীফ ও সৈয়দ মুন্তাজ আলীর মধ্যে কার নাম আগে যাবে, এটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পর তাঁর পাঠানো বাহিনী অনুষ্ঠানস্থলে এসে তাণ্ডব চালায়। আবার সন্ধ্যার পর আমাকে মারধর করে।’
পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’