ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-শামস জগলুল এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত তাঁর প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক লায়লা কানিজ এবং তাঁদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এরআগে গতকাল রোববার মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে। পাশাপাশি তাঁকে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কোরবানির জন্য রাজধানী সাদেক এগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত। তবে শুরুতে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে পরিচয় দেননি। তখন ইন্ডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে মতিউর রহমান বলেন, ‘ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি ও আমার পরিবার অনেক বিব্রত।’
তবে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী জানান, ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। প্রায় দুই মাস আগে এটিকে যশোরের একটি হাট থেকে ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনে সাদেক এগ্রো। ফেসবুকের এই ছাগলের সঙ্গে ওই যুবক ছবি দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এক রাজস্ব কর্মকর্তা কীভাবে এতো দামে ছাগল কিনলেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।