ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে। মাথায় গুলি লেগে মস্তিস্কের ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে অনেকের। এর শিকার বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে, কেউ বেঁচে গেছেন প্রায় অলৌকিকভাবে। আহতদের অস্ত্রোপচারের পর পাওয়া বুলেটের নমুনা পরীক্ষা করে এ কথা বলেছেন সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. চৌধুরী মুহাম্মদ ফুয়াদ গালিব বলেন, এখানে ভর্তি অধিকাংশেরই গুলি লেগেছে ঘাড়ে ও মাথায়। অনেকের আবার মাথা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে সেই বুলেট। মাথায় স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে অধিকাংশ রোগীকেই বাঁচানো যায়নি। অনেক চেষ্টার পরও কারও কারও মাথা থেকে গুলি বের করা যায়নি। যদিও বা কারও কারও মাথা থেকে গুলি বের করা গেছে, তার সংখ্যা একবারে কম।
গুলিবিদ্ধের অস্ত্রোপচার করেছেন এমন এক নিউরো সার্জন ডা. মো. সামসুল আরেফিন জানালেন, যতগুলো বুলেট তিনি বের করেছেন সেগুলো সাধারণ বুলেটের চেয়ে আকারে বেশ বড়।
সেসব গুলির ছবি পর্যালোচনা করে সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক বলছেন, এগুলো স্নাইপার রাইফেল থেকে ছোড়া এবং প্রাণঘাতী।
গণ-অভ্যুত্থানের ২০ হাজারের বেশি আহত ও নিহত হাজারের বেশি। আহতের অনেকেই এখনও আছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।