বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১৩ জন সমন্বয়ক ও ৪ জন সহ-সমন্বয়ক।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের দুটি কারণ উল্লেখ করেন তারা। কারণগুলো হলো- জাবির কতিপয় সমন্বয়কের বিতর্কিত কার্যক্রম ও ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং সরকারী দলের মত আচরণ ও গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের বিরুদ্ধে কাজ।
পদত্যাগকৃত সমন্বয়কেরা হলেন আব্দুর রশীদ জিতু, রুদ্র মুহাম্মদ সফিউল্লাহ, হাসিব জামান, জাহিদুল ইসলাম ইমন, জাহিদুল ইসলাম, ফাহমিদা ফাইজা, রোকাইয়া জান্নাত ঝলক, মিশু খাতুন, রাফিদ হাসান রাজন, হাসানুর রহমান সুমন, আব্দুল হাই স্বপন, নাসিম আল তারিক, ঐন্দ্রিলা মজুমদার এবং সহ-সমন্বয়কেরা হলেন জিয়া উদ্দিন আয়ান, তানজিম আহমেদ, জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, সাইদুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আব্দুর রশীদ জিতু কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন।
এ সময় পদত্যাগকৃত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, ’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের আন্দোলনকারীদের একই ব্যানারে অন্তর্ভূক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যানার আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহণের ইতিহাসকে ম্লান করে দিচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়গুলোতে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে যতো দ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবির আহব্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, ’সমন্বয়কদের পদত্যাগের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না, যারা পদত্যাগ করেছেন এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও সাভার এলাকায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তারা।