দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল কবিরাজকে (৪০) আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রোববার (৭ অক্টোবর) গোর-এ শহীদ ময়দান এলাকা থেকে তাকে আটক করলে পরে পুলিশ গ্রেফতার দেখায়। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী রাহুল ইসলাম হত্যার মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার আমিনুল সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কোম্পানি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মাদক কারবার, ভূমি দখলসহ নানান অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমিনুল কবিরাজি চিকিৎসার আড়ালে অবৈধ কার্যক্রম চালাতেন। কেউ মুখ খুললে মামলা দিতেন, মারধর করতেন। নিজের লোক দিয়ে মাদক কারবার, ভূমি দখলসহ নানান কার্যক্রম চালাতেন। এতে অতিষ্ঠ ছিল এলাকার মানুষ। কিছুদিন আগেও তার অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন করেছেন তারা।
এ ঘটনার পর অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন আমিনুল কবিরাজ। পরে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে আমিনুল কবিরাজির আড়ালে এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি হলেও প্রকাশ্যেই চলাফেরা করতেন।
গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন এলাকার মানুষ। তার শাস্তি দাবি করেন তারা। এ সময় পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমিনুলকে শহরের বড়মাঠ এলাকা থেকে আটক করে জনতা। পরে তাকে মারধর করে পুলিশে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আমিনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তাকে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ। এর মধ্যেই আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।