রাজধানীর ভাটারা থেকে এক কলেজছাত্রকে অপহরণের মামলায় ডিএমপির একজন কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমেনুল মোমেনীন (২৮) নামের ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আমেনুল মোমেনীন ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
গ্রেফতারের পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
জানা যায়, ওই কলেজছাত্রের নাম নোমান হোসেন। তাকে অপহরণের অভিযোগে আজ আমেনুল মোমেনীনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বাকি চার আসামি হলেন- ভাটারা এলাকার মো. তুহিন (২৮), মো. রাতুল (২০), মো. আরিফ (৩০) ও মো. লিটন (২৫)। তারা সবাই পলাতক।
ভাটারা থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম জানান, ভাটারা এলাকায় নোমান হোসেন নামের এক তরুণকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আমেনুল মোমেনীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপর চার আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নোমানের মা লিজা আক্তার জানান, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার ছেলে নোমান নানির বাসার উদ্দেশে তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে বের হয়। এ সময় যাওয়ার পথে পুলিশ পরিচয়ে তাদের থামানো হয়। সেখান থেকে নোমানকে তুলে নিয়ে ভাটারার নূরের বাজার রোড এলাকায় আমেনুলের সহযোগী তুহিনের বাসায় আটকে রাখা হয়। সেখানে মারধর করে তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মুঠোফোন কেড়ে নেয়া হয়। প্রথম ধাপে টাকা ও মুঠোফোন নেয়ার পর নোমানের কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়। তখন নোমান জানান, তার কাছে টাকা নেই।
লিজা জানান, আরও টাকা নেয়ার আশায় নোমানকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় গিয়ে নিজেকে পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন আমেনুল। একপর্যায়ে তিনি (নোমানের মা) চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন বাসায় গিয়ে আমেনুলকে আটক করেন। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে ভাটারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমেনুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
যদিও কলেজছাত্র নোমানকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগ আমেনুল অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শাহ আলম।