টাঙ্গাইলে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাব ইশরাককে ফোনে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আবু ফয়সাল, অমিত হাসান, আরিফুল ইসলাম অনিক ও খন্দকার মেহেদী হাসান নভেল।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইশরাক তার নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোহান ইশরাককে ফোন করে দেখা করার জন্য ডাকেন। ইশরাক টাঙ্গাইল সদর থানার পৌর উদ্যানের পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেখা করতে যান। সেখানে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় ইশরাকের বাবা ইব্রাহিম খলিল পরদিন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সোহান হোটেল বয়ের কাজ করতেন এবং রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিলে লোক সাপ্লাই করতেন। ইশরাক এর বিরোধিতা করেন। ঘটনার ৭ থেকে ৮ মাস আগে ইশরাক, তুর্য, রিয়াদ, মহসিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে সোহানকে আটক করে মারধর করে এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সোহান। সোহান ইশরাককে মারার পরিকল্পনা করেন। লোকও ঠিক করেন। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি ইশরাককে ফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন ওই বছরের ১১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য টাঙ্গাইলের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অন্যদিকে সোহান ও নাইমুর রহমান হিমেল অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচারকাজ চলছে শিশু আদালতে।