ছাত্রকে ধ*র্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই

দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর |

দিনাজপুরে মাদরাসার এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়। শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের উপকণ্ঠে ঘাসিপাড়া তা-মীরুল উম্মাহ মাদরাসায়। পুলিশ বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টায় শহরের ঘাসিপাড়া তা-মীরুল উম্মাহ মাদরাসা চত্বরে সরেজমিনে একজন শিক্ষককে গণধোলাই দিতে দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেছেন তিনি। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে গণপিটুনিতে আহত শিক্ষককেও উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি উপশহরে। 

এলাকাবাসী জানিয়েছে, সোমবার জোহরের নামাজের পরই রবিউল মাদরাসার আবাসিক কক্ষে জোরপূর্বক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে রক্তাক্ত অবস্থায় তার শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে গণধোলাই দেয়।

এলাকাবাসীর চাপের মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম।

মাদরাসার পরিচালক বলেন, ঘটনার পরই ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
 
পুলিশ বলছে, তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে আহতাবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026299953460693