রাজধানীর মিরপুরের দারুসসালামে সিয়াম (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষাথীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে মিরপুরের দারুসসালামের লালকুঠির বসুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম লালকুঠি বসুপাড়া এলাকার মো. আমিন ও স্বপ্না বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান। সে স্থানীয় লালকুঠি এলাকার কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সিয়ামের বন্ধু ও লালকুঠির রজনীগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সীতল হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যার আগ থেকেই সিয়ামসহ আমরা ১৫-৩০ জন বন্ধুবান্ধব একই সঙ্গে ছিলাম। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে বসুপাড়া এলাকায় আমাদের পরিচিত একটি আমগাছের নিচে আম কুড়াতে যাই। আম কুড়ানোর সময় দেখতে পাই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কিছু যুবক আমাদের দিকে তেড়ে আসছে।
লাইটের আলোতে দেখতে পাই ২০-২৫ জনের গ্রুপের সামনে আছে রকি, ফরিদ, রুবেল ওরফে পটেটো রুবেল, ইমরান ও জার্মানি মাসুদকে। তাদের দেখে ভয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সিয়ামের অপর এক বন্ধু আসিফ আহমেদ বলেন, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ২০-২৫ জনের সমন্বয়ে গ্রুপের সামনের ব্যক্তিদের চিনতে পেরে আমরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্ত এ সময় সিয়াম আমাদের সঙ্গে দৌড়ে আসতে না পারায় পেছনে থেকে যায়। পরে আমরা জানতে পারি সিয়ামের পেটে তারা ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে গেছে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহতাবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে এ ঘটনায় দারুসসালাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে এক যুবক ছুরি সদৃশ দেশীয় অস্ত্র হাতে এক কিশোরের ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় আরও বেশকিছু যুবক তাদের অনুসরণ করছেন। এ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ দিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিহত সিয়ামের মা স্বপ্না বেগম বুকফাঁটা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি দাবি করেন তার ছেলেকেই ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে দারুসসালাম থানার ওসি আমিনুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।