সিট বাণিজ্য ও এক ছাত্রকে মারধরের অপরাধে রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবেন না তিনি। একই অপরাধে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মীকে ছয় মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দু’জনকে তিরস্কার করা হয়েছে। তাদের শাস্তি গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃতরা হলেন– আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন (ডেন্টাল অনুষদ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ পারভেজ (ডেন্টাল বি গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), ফারহান হোসেন (ডেন্টাল-বি গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), শাহরিয়ার নাফিজ (ল্যাব-এ গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), পারভেজ মোশাররফ (ল্যাব-এ গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) ও নিলয় কুমার (রেডিওলোজি-এ গ্যালারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ)। এ ছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের সিফাতকে (ফার্মেসি) তিরস্কার করে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে। টাকা লেনদেনের জন্য একই শিক্ষাবর্ষের বিভাগের শিক্ষার্থী হাসানকে তিরস্কারের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।
শাস্তির নোটিশে জানানো হয়, ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেন একই বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলে সিট দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন। অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ সভাপতির কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়। তবে নোটিশটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করেন অধ্যক্ষ।
এর আগে ২৯ এপ্রিল হাসানকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ১ মে থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় আইএইচটি ক্যাম্পাস। ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক জানান, গেল কয়েক দিন অফিসিয়াল কাজের চাপ থাকায় শাস্তি-সংক্রান্ত আদেশের নোটিশটি প্রকাশে দেরি হয়েছে।