মাদরাসাছাত্র হাফেজ রবিউল ইসলাম হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া হাটহাজারী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বর্তমানে সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬ আদালতের বিচারক নুরুল হারুন এ আদেশ দেন।
এর আগে হাটহাজারী থানার ওসি (অপারেশন) মোল্লা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর মাদরাসাছাত্র হাফেজ রবিউল ইসলাম হত্যার কারণ, আসামিদের অবস্থান নির্ণয় এবং হত্যাকাণ্ডের ইন্ধনদাতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক ওসি রফিকুল ইসলামকে সাত দিনের হেফাজতে নিতে আদালতে আবেদন করেন। আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে আদালত সুত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায় এপিবিএন সদর দপ্তর থেকে সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে আদালতে হাজির করে পুলিশ। গ্রেফতার এই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানা এলাকায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী খান।
জানা যায়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে হাফেজ রবিউল ইসলাম (২৪) নিহত হন। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল জব্বার হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ও দুই উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর প্রশাসক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ সুনির্দিষ্ট ২৮ জন এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন পুলিশ সদস্য ও অজ্ঞাত পরিচয় ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ বিকেলে হাটহাজারী মডেল থানার সামনে মাদরাসাছাত্র হাফেজ রবিউল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আসামি সাবেক ওসি রফিকুল নিজেই রবিউলকে গুলি করে হত্যা করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করেন বাদী নিহতের পিতা আব্দুল জব্বার।