দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্কুলছাত্র মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে (১৪) গলা কেটে হত্যার অভিযোগে তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ হত্যাকণ্ডের ঘটনায় নিহত মিরাজের বাবা মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বুধবার চিরিরবন্দর থানা পুলিশ মিরাজের দুই বন্ধুকে আটক করেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের আজিপাড়ার সন্নিকটে সেচ পাম্প সংলগ্ন বুড়িরস্থান নামে স্থানে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জনৈক পথচারী মিরাজের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাতেই মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার সকালে লাশ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে মিরাজের দাফন সম্পন্ন হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ বছর আগে নিহত মিরাজ আটককৃত বন্ধুদের একজনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ধার নেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৪ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ওই বন্ধু মোবাইল ফোনে নিহত মিরাজকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং মিরাজের বাইসাইকেলে ৩ জন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় বা মধ্যবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং নির্জনস্থান নিশ্চিত করে ওই দুই বন্ধু মিরাজের গলায় ছোরা দিয়ে পোচ দিলে মিরাজ বাইসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় মিরাজের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য একজন গলায় ছোরা দিয়ে আরো একটি পোচ দেয়। এতে মিরাজের মৃত্যু নিশ্চিত হলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি পাশের ভূট্টাক্ষেতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় তারা তাদের পরিহিত কাপড়গুলো খুলে বাড়ির পাশে ময়লাস্তুপে ফেলে দেয়। নিহত মিরাজের মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে একজন তাদের বাড়িতে রেখে দেয়।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশিদ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়টি আরো তদন্ত করা হচ্ছে।