বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সাথে। ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাদের অবদান নিয়েও এ সময় প্রশ্ন তুলেছেন সমন্বয়করা।
এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না। নতুন যাদেরকে উপদেষ্টা বানানো হয়েছে, দেশের জন্য তাদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি গত ১৫ বছরে তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের এ সময় বলেন, ‘আমরা এক দফা দাবি আদায়ে বলেছিলাম ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলা চাই। এই বাংলা থেকে ফ্যাসিবাদকে উচ্ছেদ করতে হবে। সেইসাথে তাদের দোসরদেরও উচ্ছেদ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে আমরা আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শপথ নেয়া ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীনের অপসারণের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী ছাত্র জনতা। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
রোববার বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন—ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এর মধ্যে ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।