ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ হবে না- এমন শিরোনামে একটি সংবাদ বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এমনটি বলেছেন বলে জানানো হয়েছে। এর পরেই বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। সাংবাদিকদের কিংবা এর বাইরেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের কথা বলিনি। আমি শুধুমাত্র হল পরিদর্শন এবং তা সংস্কারের বিষয়ে কথা বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, উপাচার্য এ ধরনের কথা বলেননি।
বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে উপাচার্য এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ছাত্র রাজনীতি বিষয়ক কোন কথা আমি কোথাও বলিনি। ছাত্র রাজনীতি বিষয়ক কোন প্রশ্নও আমাকে করা হয়নি এবং আমি মন্তব্য ও করিনি। যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদকের মুখ দিয়ে প্রকাশিত বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং অসত্য। সবাইকে অপপ্রচার ও গুজব থেকে সাবধানে থাকার অনুরোধ রইল।
এর আগে আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে দুটি হল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এসময় তিনি বিভিন্ন হলের ৩০০টি কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে বলে জানান।
পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে প্রায় ৩০০টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে।