ছাত্ররাজনীতির কালচার চেঞ্জ করতে হবে : জবি উপাচার্য

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি |

লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, যাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, আমি বলেছি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হবে না কিন্ত ছাত্ররাজনীতির কালচার চেঞ্জ করতে হবে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চলবে না। জকসু যতদ্রুত সম্ভব ততো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তাহলে আমাদের একটা স্পেসিফিক উইন্ডো হবে যেটা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।  

বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে যারা স্বৈরাচারের হয়ে প্রত্যক্ষ কাজ করেছে, তাদেরকে উৎসাহিত করেছে তাদের আমি ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না। আমি এদের ভাইস-চ্যান্সেলর হতে চাই না। আমরা যারা দায়িত্বে আছি তারা আইনে বাধা। চাইলেও আমরা সবকিছু করতে পারি না। সবাইকে একসাথে চলতে হবে, স্বৈরাচারকে ঠেকাতে হবে এবং সবাই মিলে সফলতা অর্জন করতে হবে।

হল ও আবাসন সংকটের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের হল নেই। এখানে ভিসি ভবনও নাই। আমি কোথায় থাকব তারও ঠিক নেই। আমি তো ক্যাম্পাসেই থাকতে চাই। কিন্ত এখানে থাকার জায়গা নাই। নতুন ক্যাম্পাসে টেম্পরারি থাকার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটাও আমি ভাবছি। দশ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা সহজ কিছু নয়। যা ১৯ বছরে হয়নি তা এক মাসে হয়তো হবে না। তবে আমরা অগ্রগতি জানাবো। আমি তোমাদের ভিসি। আমরা সবাই মিলে সফল হবো। 

উপাচার্য রেজাউল করিম আরো বলেন, আমাদের অডিটোরিয়ামে এসি সব নষ্ট। খোজ নিয়ে দেখলাম আমি যে সময়ে৷ বাসার এসি কিনেছি তা কবে নষ্ট হবে তার ঠিক নেই, কিন্ত এখানের সব এসি নষ্ট। আমরা জিরোতেও নাই, আমরা অলরেডি মাইনাসে আছি। কারণ এই এসি লাগাতে হলে আগে নষ্টগুলো সরাতে হবে। ভবনগুলো ঝুকিপূর্ণ, নতুন ভবন করতে হলে এগুলো ভাঙতে হবে। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবে কোথায়? এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন বেগম খালেদাজিয়া। এখন তার নামফলকও নাই। সেগুলো পুন:স্থাপন হবে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। 

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল প্রোভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সহ বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যাচ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006619930267334