রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) লিখিত আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয় আমির আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং ফিশারিজ বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলামের স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি।
আবেদনে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চার মাস বসবাস করেছেন। ছাত্রলীগ নেতা মমিনুলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তোলেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘মমিনুল একজন হুজুরকে ডেকে বিয়ের নাটক করে এবং স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আমার সঙ্গে বসবাস করে। বিগত চার মাস আমি তার সাথে সংসার করেছি। কিছুদিন ধরে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এই সময় আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নাই।
আমার বাবা পঙ্গু, তার সাথে আমার যোগাযোগ নাই। আমার মা হার্টের রোগী। আমার কোনো অভিভাবক নেই। সেই সুযোগে সে (মমিনুল) আমাকে রাজনৈতিক ভয় দেখায়।
আমি আপনের (প্রক্টর) কাছে সাহায্য চাচ্ছি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।’
অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “হুজুর ডেকে বিয়ের সময় মমিন আমাকে বলেছিল, ‘ফেরেশতাদের সাক্ষী রেখে আমি তোমাকে বিয়ে করলাম।’ এর পর থেকে আমরা কাজলায় একটা ভাড়া বাসাতে থাকতাম। রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জায়গায় একসাথে ঘুরতেও গিয়েছি।
কিন্তু এখন সে আমাকে অস্বীকার করছে।”
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘একটা অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর সাইকা কবির নিতুকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবেন। এটি যেহেতু বাইরের কেস তাই অভিযোগের সত্যতা মিললে সমাধানের জন্য থানায় পাঠানো হবে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘মৌখিকভাবে ওই শিক্ষার্থী আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’