ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে কক্ষ ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ওই হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম আতিকা বিনতে হোসাইন।
অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রোববার মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রূপাকে হলের ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ নম্বর কক্ষ থেকে মারধরের পর টেনেহিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তার জামা-কাপড় ও জিনিসপত্র বাইরে রেখে দেয় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী আতিকার অনুসারীরা। আতিকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী রূপা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী এবং রোকেয়া হল ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী।
ভুক্তভোগী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকা রূপা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আতিকা আপুর ৮ থেকে ১০ জন মেয়ে আমার জিনিসপত্র আগেই ফেলে দিয়েছে। এর আগে তারা অমানুষের মতো আমাকে রুম থেকে টেনেহিচড়ে নিয়ে গেছে। আমি প্রচন্ডভাবে ইনসিকিউরড। হাতে ব্যথা, কথাও বলতে পারতেছি না।
এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন বলেন, আমি আসলে কিছু জানি না। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি প্রভোস্ট ম্যাম ও হাউজ টিউটরকে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া আমি তো এখন সেন্ট্রালে মুভ করছি। হলের বিষয়গুলো দেখার সুযোগ আমার নেই।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মারধরের কোনো ঘটনাই হলে ঘটেনি। যাকে ভুক্তভোগী বলা হচ্ছে তার বন্ধু-বান্ধব কেউই বিষয়টি জানায়নি। আমরা পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি রূপা অন্য একটি বিল্ডিংয়ের রুমে ছিলেন, কিন্তু সে ৭ মার্চ ভবনের ১১২১ শিফট করতে চেয়েছিলো। কিন্তু ওই রুমে যারা ছিলো, তাকে ওই রুমে শিফট করতে দেয়নি। পরে বিষয়গুলো জানার পর রূপাকে জিজ্ঞেস করি, তুমি যে যে রুম শিফট করবে কাউকে কি জানিয়েছ? সে কোন উত্তর দেয়নি।