সংগঠনের আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নওগাঁর পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সাথে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান সিউলকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। কারণসহ লিখিতভাবে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত পত্রে এ নির্দেশ দেয়া হয়। সেদিন সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শীতল খান, নওগাঁ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রহমান আরমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা তানভির, উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল সিফাত সাদিক (১৬) ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ফজল রাব্বি।
এদের মধ্যে শীতল খাঁন একটি হত্যাকাণ্ডের সাথে এবং অপর চার জন প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারপিটে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছেন বলেছেন জানা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ২৯ জুন রাতে শহরের মুক্তির মোড় আশির্বাদ কম্পিউটার দোকানের সামনে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রহমান আরমান, হুজাইফা তানভির, আব্দুল সিফাত সাদিক, ফজল রাব্বিসহ ১০/১৫ জন লাঠিসোঠা ও ছুরি নিয়ে নওগাঁ পৌর ছাত্রলীগের কর্মী শাহাদৎ হোসেন তুষারের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুষারের মাথা ও ডান বাহুতে আঘাত করে গুরুত্বর আহতাবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়া হয়। ঘটনায় পরদিন শাহাদৎ হোসেন তুষারের মা ইসমত আরা বাদি হয়ে সদর থানায় সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া গত ২৮ মে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ‘ইডেন থাই এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ এর নৈশ্য প্রহরী শারীরিক প্রতিবন্ধি আতাউর রহমানকে (৫০) হত্যার ঘটনার সাথে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শীতল খান জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এসব বিষয় নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গত ৩ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর একটি অভিযোগ করা হয়েছিল।