কিশোরগঞ্জে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগে ২৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কে সদর উপজেলার প্যারাভাঙ্গা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তাদের উপর চড়াও হয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ এবং ইট ও লাঠি নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের ৭ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ২৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের ভাটাইল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মো. শফিউল্লাহ (২১), একই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে ছোটন (১৬), পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মো. এমদাদুল (২২), বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের আব্দুল আমিনের ছেলে বশির উদ্দিন (২৩), করিমগঞ্জ উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মো. আতাউল্লাহ (২৩), একই উপজেলার পিটুয়া গ্রামের মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (২৮), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার গাছপাড়া গ্রামের হাশেম উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব (২১) প্রমুখ। অন্যদিকে জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ রমজান আলী জানিয়েছেন, গতকাল ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুর সড়কে সংগঠনের নেতাকর্মীরা র্যালি করে। শান্তিপূর্ণ র্যালি শেষে ফেরার পথে নতুন জেলখানা মোড় এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের পুলিশ আটক করে।
অধ্যক্ষ রমজান আলী এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এদিকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদ জানান, গতকাল সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলখানা মোড় হতে হোসেনপুরের দিকে যাওয়ার পথে জামাত-শিবিরের কর্মী-সমর্থক ও নেতারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। খবর পেয়ে সকাল সোয়া ৮টার দিকে পুলিশ প্যারাভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় নাশকতাকারীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ইট ও লাঠি নিক্ষেপ করে। সরকারি জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ২৪ জনকে আটক করে। তাদের সবার গায়ে জামাত-শিবিরের জার্সি পরা ছিল। এ সময় ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের ও অন্যান্য আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।