নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল শাহকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণে সহযোগিতার দায়ে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আউয়াল শাহ নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের দিঘলডাঙ্গী গ্রামের মৃত নেয়ামতুল্যা শাহের ছেলে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) তাকে নীলফামারী জেলহাজতে পাঠিয়েছে সৈয়দপুর পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের অসুরখাই গ্রামের এক কলেজছাত্রী চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বান্ধবীর সঙ্গে পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কে বেড়াতে যান। সেখানে পরিচয় হয় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে যুবক শাহিন হোসেনের সঙ্গে। পরে মোবাইল ফোনে তোলা ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে শাহিন হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পাতাকুঁড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে বিনোদন পার্কের ম্যানেজার ও কেয়ারটেকারের সহায়তায় শাহিন মেয়েটিকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওইদিনই ধর্ষক শাহিনকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মতিয়ার রহমান জানান, মামলার তদন্তে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে বিনোদন পার্কের ম্যানেজার আব্দুল আউয়াল শাহ ও কেয়ারটেকারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাতাকুঁড়ি বিনোদন পার্কের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তাকারী হিসেবে ওই বিনোদন পার্কের এক কেয়ারটেকার রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।