বগুড়া সদরের মাঈশা ফাহমিদা নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িত আসামি মো. মোত্তাকিন খানকে (২০) আটক করেছে র্যাব-৩। মোত্তাকিন খান বগুড়ার সদর থানার মালতিনগরের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে।
রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগী মাঈশা ফাহমিদা বগুড়ার ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আবির আহমেদ নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় তার কাছে ভুক্তভোগীর কিছু আপত্তিকর ছবি ছিল। পরে এসব আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভয় দেখালে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন রাতে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় মাঈশা। এই ঘটনায় তার বাবা ২১ আগস্ট ২০১৯ তারিখ সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা এবং ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখ বগুড়ার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবির আহমেদ ও শাহরিয়ার অন্তু নামের দুই তরুণের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, মামলাটির সুনিপুণ তদন্তে আসামি আবির আহমেদ ও শাহরিয়ার অন্তুরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে গ্রেফতার আসামি মোত্তাকিন খানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। পরে আদালত মোত্তাকিনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।