বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এক কলেজছাত্রীকে দুই মাস আটকে রেখে নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন ও তার বন্ধু রবিউলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রোববার রাত ১২টার দিকে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আল আমিন ও রবিউলকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে রবিবার দুপুরে শহরের হাজিপাড়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে (১৮) উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রবিউলকে আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয় এবং পুলিশ সদস্য আল আমিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কনস্টেবল আল-আমিন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকরি করেন। সে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, আল-আমিন আমাকে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যায়। সেখানে ৫ দিন রেখে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। কক্সবাজার থেকে এসেই জানতে পারি সে বিবাহিত। তার একটি সন্তানও রয়েছে। আমি নিশ্চিত হই সে প্রতারক। আমি আমার বাসায় ফিরে যেতে চাই। বারবার তাকে অনুরোধ করি। কিন্তু আল-আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে। দুই মাস ধরে আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে রেখে নির্যাতন করেছে। ধর্ষণ করেছে।
ওই ছাত্রীর পিতা অভিযোগে বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার মেয়ে বাসা থেকে পৌনে নয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন সন্ধান পাইনি। তিন মাস পর পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, শহরের একটি মহিলা ম্যাচ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দোষী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে যথাযথ পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।